অবশেষে জানা গেলো রাজনীতি নিয়ে আশরাফকন্যার সিদ্ধান্ত

‌সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অবর্তমানে তার একমাত্র মেয়ে সৈয়দা ‌রিমা ইসলাম যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে রাজনী‌তিতে স‌ক্রিয় হ‌বেন, এমনটাই চাওয়া প্রয়াত নেতার সমর্থক‌দের। তব রিমা ব্যক্তিগতভাবে রাজনী‌তিতে যুক্ত হতে এখনই আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও ঘ‌নিষ্ঠজনরা।

যুক্তরাজ্য যুব ম‌হিলা লীগ সভাপ‌তি ইয়াস‌মিন মাহমুদ প‌লিন সৈয়দ আশরাফের ছোট‌ বো‌নের উদ্ধ‌ৃতি দি‌য়ে আর‌ও জানান, রিমার এ মুহু‌র্তে রাজনী‌তি‌তে আসার কোনও ধর‌নের আগ্রহ নেই। সঙ্গত কারণে আপাতত এ ধরনের কোনও সম্ভাবনা নেই। এটা তি‌নি তার প‌রিবার ও স্বজন‌দের জা‌নি‌য়ে দি‌য়ে‌ছেন। রিমা এখন লন্ড‌নে এক‌টি ক‌রপো‌রেট ব্যাংকে উচ্চ প‌দে কর্মরত আছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর এখন তি‌নি পূর্ব লন্ড‌নের বেকট‌নে নি‌জের বাড়ি ছে‌ড়ে খালার বাসায় আপাতত থাক‌ছেন।

লন্ড‌নে সৈয়দ আশরাফ প‌রিবা‌রের একজন ঘ‌নিষ্ঠজন নাম না প্রকা‌শের শ‌র্তে ব‌লেন, রিমা দে‌শে ফি‌রে দলীয় রাজনী‌তি‌তে স‌ক্রিয় হ‌তে এখনই আগ্রহী নন। তা‌র এ অনাগ্রহের কার‌ণেই কি‌শোরগ‌ঞ্জ-১ আ‌সনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলা‌মের ভাই ও বোন দলীয় ম‌নোনয়নপত্র কি‌নে‌ছেন। তি‌নি আরও বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইস‌লা‌মের কন্যাও তার বাবা‌র ম‌তোন-চল‌নে, বল‌নে। তারও পদ বা ক্ষমতার কোনও মোহ নেই।

লন্ডনে সৈয়দ আশরাফের বন্ধু ও টাওয়ার হ্যাম‌লেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সি‌লর রাজন উদ্দীন জালাল জানান, রিমাও তার বাবার মতো। নিভৃতচারী ও প্রচার‌বিমুখ। লন্ডনে সৈয়দ আশরাফের জন্য আমরা যে স্মরণসভার আয়োজন করেছিলাম, তাতে রিমা এসেছিল। কিন্তু, আয়োজকদের দফায় দফায় অনুরোধ কোনও বক্তব্য দেয়নি, ম‌ঞ্চেও আসন গ্রহণ করেনি।

সৈয়দ আশরা‌ফুল ইসলা‌মের ঘ‌নিষ্ঠ বন্ধু ও লন্ড‌নের প্রবীণ ক‌মিউনিটি নেতা নুর উদ্দীন এ ব্যাপা‌রে ব‌লেন, রিমার মা ও বাবা দুজ‌নেই দীর্ঘদিন অসুস্থ ছি‌লেন। মাত্র কিছু‌দি‌নের ব্যবধা‌নে দুজ‌নেই গত হ‌য়ে‌ছেন। মা-বাবা দুজন‌কে হা‌রি‌য়ে রিমা শোক‌বিহ্বল হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছেন। আমরা যতটুকু জা‌নি, মূলত এ কার‌ণেই এ মুহূ‌র্তে তার পাকাপা‌কিভা‌বে দে‌শে ফি‌রে রাজনী‌তি‌তে স‌ক্রিয় হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ ব্যাপারে জানতে সৈয়দা রিমা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান। সদ্য শেষ হওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনেও কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।